সমোচ্চারিত, ভিন্নার্থক শব্দ
অর্থসহ বাক্য: শব্দের পার্থক্য বুঝি (১–৩৫)
- নীর (জল) – পুকুরের নীর নিঃশব্দে বয়ে চলেছে।
নীড় (বাসা) – পাখি তার ছানাদের নিয়ে নীড়ে ফিরল। - আঁধার (অন্ধকার) – গুহার ভেতরে ঘোর আঁধার।
আধার (পাত্র) – দুধ রাখার জন্য একটি আধার আনো। - আবরণ (ঢাকা বস্তু) – মূর্তিটি রেশমের আবরণে ঢাকা ছিল।
আভরণ (গহনা) – মা সোনার আভরণ পরে পূজায় গিয়েছিলেন। - তির (বাণ) – রামচন্দ্র রাবণের দিকে তির নিক্ষেপ করলেন।
তীর (কিনারা) – নৌকাটি ধীরে ধীরে তীরে এসে ভিড়ল। - দীন (গরিব) – দীন-দুঃখীদের সাহায্য করো।
দিন (বার/সময়) – আজ খুব সুন্দর একটি দিন। - বীজন (বীজ সম্পর্কিত) – বীজন কোষ থেকে গাছ জন্মায়।
বিজন (নিঃসঙ্গ) – বিজন রাতে সে একা হাঁটছিল। - প্রসাদ (মন্দিরের খাবার) – আমরা কালীমন্দিরে প্রসাদ খেয়েছি।
প্রাসাদ (অট্টালিকা) – রাজপ্রাসাদটি অপূর্ব সুন্দর। - মুক (নিঃশব্দ) – সে মুক দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে রইল।
মুখ (চেহারা) – তার মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। - অনু (অনুগত ব্যক্তি) – রাজাকে অনুগত ছিল অনু।
অণু (অতিক্ষুদ্র কণা) – জল অণু দিয়ে গঠিত। - যতী (সন্ন্যাসী) – যতী সাধুবাবা আশ্রমে থাকেন।
যতি (বিরাম/পদচিহ্ন) – এই লাইনে একটি যতি চিহ্ন দিন। - অংশ (ভাগ) – এই জমির অর্ধেক অংশ আমার।
অংস (ভুজা/কাঁধ) – যোদ্ধার অংসে বল রয়েছে। - লক্ষ্মণ (রামচন্দ্রের ভাই) – লক্ষ্মণ ভ্রাতৃভক্ত ছিলেন।
লক্ষণ (চিহ্ন) – জ্বরের লক্ষণ স্পষ্ট। - অর্ঘ (উপহার) – পূজায় দেবতাকে অর্ঘ প্রদান করা হয়।
অর্ঘ্য (পূজার জলপাত্র) – অর্ঘ্য দিয়ে দেবতাকে পূজা করা হলো। - শারদা (দেবীর নাম) – শারদা দেবী ছিলেন রামকৃষ্ণের সাথী।
সারদা (একটি নাম বা মিশনের নাম) – সারদা মিশন মহিলাদের জন্য কাজ করে। - আশা (প্রত্যাশা) – আমি তোমার সুস্থতার আশা করি।
আসা (আগমন) – সে আজ বিকেলে আসবে। - দার (স্বামী) – বিধবা তার দারকে হারিয়েছে।
দ্বার (দরজা) – রাজপ্রাসাদের দ্বার বন্ধ ছিল। - স্বাক্ষর (সাক্ষ্যস্বরূপ নাম লেখা) – তুমি এই কাগজে স্বাক্ষর করো।
সাক্ষর (শিক্ষিত) – আজকাল সবাই সাক্ষর হয়ে উঠছে। - আদি (প্রথম) – আদি যুগে মানুষ পাথরে লিখত।
আঁধি (ঝড়) – আঁধি উঠে নৌকা উল্টে গেল। - কমল (নাম/ব্যক্তি) – কমল স্কুলে গিয়েছে।
কোমল (নরম) – শিশুর গাল খুব কোমল। - তরণী (নৌকা) – তরণী নদীর মাঝে দাঁড়িয়ে।
তরুণী (যুবতী) – তরুণী মেয়েটি খুব সুন্দর। - পদ্ম (ফুল) – পদ্ম ভারতের জাতীয় ফুল।
পদ্য (কবিতা) – রবীন্দ্রনাথ পদ্য রচনায় দক্ষ ছিলেন। - বিশ (বিশ্ব) – বিশ নেতার মধ্যে সে একজন।
বিস (বিষ্ফোরণ) – বিস শব্দে সবাই চমকে গেল। - বিষ (বিষাক্ত পদার্থ) – সাপে বিষ থাকে।
বিশ (সংখ্যা) – আমাদের ক্লাসে বিশজন ছাত্র। - শব (মৃতদেহ) – শব নিয়ে শ্মশানে যাওয়া হলো।
সব (সমস্ত) – আমি সব কাজ করে ফেলেছি। - দেশ (রাষ্ট্র) – ভারত আমার দেশ।
দ্বেষ (ঘৃণা) – হিংসা ও দ্বেষ ভালো নয়। - দীপ (প্রদীপ) – কালীপূজায় দীপ জ্বালানো হয়।
দ্বীপ (দ্বীপপুঞ্জ) – শ্রীলঙ্কা একটি দ্বীপ দেশ। - দ্বিপ (হস্তী) – রাজা সাদা দ্বিপে চড়ে এলেন।
আপন (নিজের) – আপনি নিজের উপর বিশ্বাস রাখো। - আপণ (দোকান) – সে নিজস্ব আপন খুলেছে।
কুল (জাতি) – আমাদের কুল অনেক বড়। - কূল (তীর) – নদীর কূল ভেঙে যাচ্ছে।
ভাল (শুদ্ধরূপ – ভালো) – ও একটি ভাল ছেলে। - ভালো (উৎকৃষ্ট) – ভালো বই পড়ে জ্ঞান বাড়ে।
সুতা (সুতোর রূপ) – সুতা দিয়ে কাপড় তৈরি হয়। - সুত (কবি/গায়ক) – সভায় সুত কাহিনি গাইল।
কুজন (অসুরেলা গলা) – কুজন শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। - কূজন (পাখির মিষ্টি ডাক) – কূজন শুনে মন ভরে গেল।
সাপ (সরীসৃপ) – মাঠে একটি সাপ দেখা গেল। - শাপ (অভিশাপ) – গুরু তাকে শাপ দিলেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন