সমোচ্চারিত, ভিন্নার্থক শব্দ

অর্থসহ বাক্য: শব্দের পার্থক্য বুঝি (১–৩৫)

  1. নীর (জল) – পুকুরের নীর নিঃশব্দে বয়ে চলেছে।
    নীড় (বাসা) – পাখি তার ছানাদের নিয়ে নীড়ে ফিরল।
  2. আঁধার (অন্ধকার) – গুহার ভেতরে ঘোর আঁধার।
    আধার (পাত্র) – দুধ রাখার জন্য একটি আধার আনো।
  3. আবরণ (ঢাকা বস্তু) – মূর্তিটি রেশমের আবরণে ঢাকা ছিল।
    আভরণ (গহনা) – মা সোনার আভরণ পরে পূজায় গিয়েছিলেন।
  4. তির (বাণ) – রামচন্দ্র রাবণের দিকে তির নিক্ষেপ করলেন।
    তীর (কিনারা) – নৌকাটি ধীরে ধীরে তীরে এসে ভিড়ল।
  5. দীন (গরিব) – দীন-দুঃখীদের সাহায্য করো।
    দিন (বার/সময়) – আজ খুব সুন্দর একটি দিন।
  6. বীজন (বীজ সম্পর্কিত) – বীজন কোষ থেকে গাছ জন্মায়।
    বিজন (নিঃসঙ্গ) – বিজন রাতে সে একা হাঁটছিল।
  7. প্রসাদ (মন্দিরের খাবার) – আমরা কালীমন্দিরে প্রসাদ খেয়েছি।
    প্রাসাদ (অট্টালিকা) – রাজপ্রাসাদটি অপূর্ব সুন্দর।
  8. মুক (নিঃশব্দ) – সে মুক দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে রইল।
    মুখ (চেহারা) – তার মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
  9. অনু (অনুগত ব্যক্তি) – রাজাকে অনুগত ছিল অনু।
    অণু (অতিক্ষুদ্র কণা) – জল অণু দিয়ে গঠিত।
  10. যতী (সন্ন্যাসী) – যতী সাধুবাবা আশ্রমে থাকেন।
    যতি (বিরাম/পদচিহ্ন) – এই লাইনে একটি যতি চিহ্ন দিন।
  11. অংশ (ভাগ) – এই জমির অর্ধেক অংশ আমার।
    অংস (ভুজা/কাঁধ) – যোদ্ধার অংসে বল রয়েছে।
  12. লক্ষ্মণ (রামচন্দ্রের ভাই) – লক্ষ্মণ ভ্রাতৃভক্ত ছিলেন।
    লক্ষণ (চিহ্ন) – জ্বরের লক্ষণ স্পষ্ট।
  13. অর্ঘ (উপহার) – পূজায় দেবতাকে অর্ঘ প্রদান করা হয়।
    অর্ঘ্য (পূজার জলপাত্র) – অর্ঘ্য দিয়ে দেবতাকে পূজা করা হলো।
  14. শারদা (দেবীর নাম) – শারদা দেবী ছিলেন রামকৃষ্ণের সাথী।
    সারদা (একটি নাম বা মিশনের নাম) – সারদা মিশন মহিলাদের জন্য কাজ করে।
  15. আশা (প্রত্যাশা) – আমি তোমার সুস্থতার আশা করি।
    আসা (আগমন) – সে আজ বিকেলে আসবে।
  16. দার (স্বামী) – বিধবা তার দারকে হারিয়েছে।
    দ্বার (দরজা) – রাজপ্রাসাদের দ্বার বন্ধ ছিল।
  17. স্বাক্ষর (সাক্ষ্যস্বরূপ নাম লেখা) – তুমি এই কাগজে স্বাক্ষর করো।
    সাক্ষর (শিক্ষিত) – আজকাল সবাই সাক্ষর হয়ে উঠছে।
  18. আদি (প্রথম) – আদি যুগে মানুষ পাথরে লিখত।
    আঁধি (ঝড়) – আঁধি উঠে নৌকা উল্টে গেল।
  19. কমল (নাম/ব্যক্তি) – কমল স্কুলে গিয়েছে।
    কোমল (নরম) – শিশুর গাল খুব কোমল।
  20. তরণী (নৌকা) – তরণী নদীর মাঝে দাঁড়িয়ে।
    তরুণী (যুবতী) – তরুণী মেয়েটি খুব সুন্দর।
  21. পদ্ম (ফুল) – পদ্ম ভারতের জাতীয় ফুল।
    পদ্য (কবিতা) – রবীন্দ্রনাথ পদ্য রচনায় দক্ষ ছিলেন।
  22. বিশ (বিশ্ব) – বিশ নেতার মধ্যে সে একজন।
    বিস (বিষ্ফোরণ) – বিস শব্দে সবাই চমকে গেল।
  23. বিষ (বিষাক্ত পদার্থ) – সাপে বিষ থাকে।
    বিশ (সংখ্যা) – আমাদের ক্লাসে বিশজন ছাত্র।
  24. শব (মৃতদেহ) – শব নিয়ে শ্মশানে যাওয়া হলো।
    সব (সমস্ত) – আমি সব কাজ করে ফেলেছি।
  25. দেশ (রাষ্ট্র) – ভারত আমার দেশ।
    দ্বেষ (ঘৃণা) – হিংসা ও দ্বেষ ভালো নয়।
  26. দীপ (প্রদীপ) – কালীপূজায় দীপ জ্বালানো হয়।
    দ্বীপ (দ্বীপপুঞ্জ) – শ্রীলঙ্কা একটি দ্বীপ দেশ।
  27. দ্বিপ (হস্তী) – রাজা সাদা দ্বিপে চড়ে এলেন।
    আপন (নিজের) – আপনি নিজের উপর বিশ্বাস রাখো।
  28. আপণ (দোকান) – সে নিজস্ব আপন খুলেছে।
    কুল (জাতি) – আমাদের কুল অনেক বড়।
  29. কূল (তীর) – নদীর কূল ভেঙে যাচ্ছে।
    ভাল (শুদ্ধরূপ – ভালো) – ও একটি ভাল ছেলে।
  30. ভালো (উৎকৃষ্ট) – ভালো বই পড়ে জ্ঞান বাড়ে।
    সুতা (সুতোর রূপ) – সুতা দিয়ে কাপড় তৈরি হয়।
  31. সুত (কবি/গায়ক) – সভায় সুত কাহিনি গাইল।
    কুজন (অসুরেলা গলা) – কুজন শব্দে ঘুম ভেঙে গেল।
  32. কূজন (পাখির মিষ্টি ডাক) – কূজন শুনে মন ভরে গেল।
    সাপ (সরীসৃপ) – মাঠে একটি সাপ দেখা গেল।
  33. শাপ (অভিশাপ) – গুরু তাকে শাপ দিলেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শেরপুর: ইতিহাস ও বর্তমানের এক হৃদয়ছোঁয়া গল্প

শেরশাহবাদিয়া ভাষা: বাংলা ভাষার আঞ্চলিক রূপ না কি ভিন্ন একটি লোকভাষা?

সাবান। কোনটা কি ধরনের। সরকারি নির্দেশনামাতে সাবান সম্পর্কে কি বলা আছে জানতে পড়ুন...