বাংলা ব্যাকরণ: ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর (স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য)
বাংলা ব্যাকরণ: ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
- শব্দ কাকে বলে? — স্বতন্ত্র অর্থযুক্ত ধ্বনিসমষ্টিকে শব্দ বলে।
- উপসর্গ কাকে বলে? — যে শব্দাংশ মূল শব্দের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে, তাকে উপসর্গ বলে।
- প্রত্যয় কাকে বলে? — যে শব্দাংশ মূল শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে শব্দের অর্থ ও শ্রেণী পরিবর্তন করে, তাকে প্রত্যয় বলে।
- বিপরীত শব্দ কাকে বলে? — যে শব্দ একে অপরের পরস্পর বিরোধী অর্থ বোঝায়, তাকে বিপরীত শব্দ বলে।
- সমার্থক শব্দ কাকে বলে? — একই অর্থ বোঝায় এমন একাধিক শব্দকে সমার্থক শব্দ বলে।
- কারক কাকে বলে? — ক্রিয়াপদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাক্যে পদসমূহের কার্য ও সম্পর্ক বোঝায়, তাকে কারক বলে।
- প্রত্যয় কত প্রকার? — প্রত্যয় দুই প্রকার: কৃত্য প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়।
- উপসর্গ কয় প্রকার? — উপসর্গ দুই প্রকার: বাংলা উপসর্গ ও সংস্কৃত উপসর্গ।
- পদ কাকে বলে? — বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দ বা শব্দগুচ্ছকে পদ বলে।
- বাক্য কাকে বলে? — যে শব্দগুচ্ছ সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে, তাকে বাক্য বলে।
- ক্রিয়া কাকে বলে? — যে শব্দ কাজ বা অবস্থার প্রকাশ করে, তাকে ক্রিয়া বলে।
- বিশেষ্য পদ কাকে বলে? — যে পদ দ্বারা কোন ব্যক্তি, বস্তু, স্থান বা ঘটনার নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য বলে।
- বিশেষণ কাকে বলে? — যে শব্দ বিশেষ্য বা সর্বনামের গুণ, দোষ, অবস্থা বোঝায়, তাকে বিশেষণ বলে।
- সর্বনাম কাকে বলে? — যে শব্দ বিশেষ্যর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম বলে।
- সন্ধি কাকে বলে? — দুটি ধ্বনির মিলনে নতুন ধ্বনি সৃষ্টি হলে তাকে সন্ধি বলে।
- সমাস কাকে বলে? — দুই বা ততোধিক পদের সংক্ষিপ্ত রূপে মিলনকে সমাস বলে।
- বাগধারা কাকে বলে? — প্রচলিত, অর্থবাহী বিশেষ ধরনের বাক্যাংশকে বাগধারা বলে।
- এক কথায় প্রকাশ কাকে বলে? — একটি বাক্য বা অনেক শব্দের পরিবর্তে একটিমাত্র শব্দ ব্যবহারকে এক কথায় প্রকাশ বলে।
- বচন কাকে বলে? — শব্দের একবচন ও বহুবচন রূপ বোঝাতে বচন ব্যবহৃত হয়।
- লিঙ্গ কাকে বলে? — শব্দে পুং, স্ত্রী অথবা ক্লীব পরিচয় বোঝাতে লিঙ্গ ব্যবহৃত হয়।
- কবি কাকে বলে? — যিনি কাব্য রচনা করেন তাকে কবি বলে।
- কবিতা কাকে বলে? — ছন্দোবদ্ধ ভাবপ্রকাশকে কবিতা বলে।
- বাচ্য কাকে বলে? — ক্রিয়ার দ্বারা কৃতকার্য বোঝাতে বাচ্য ব্যবহৃত হয়।
- পদবিন্যাস কাকে বলে? — বাক্যে পদগুলোর যথাযথ স্থান নির্ধারণকেই পদবিন্যাস বলে।
- বাচ্য কয় প্রকার? — বাচ্য তিন প্রকার: কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্য।
- বাংলা ভাষার উৎস কী? — বাংলা ভাষার উৎস ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠী।
- ধ্বনি কাকে বলে? — মানব কণ্ঠনিঃসৃত শব্দ বিশেষকে ধ্বনি বলে।
- উৎপত্তি অনুসারে শব্দ কয় প্রকার? — চার প্রকার: তদ্ভব, তৎসম, দেশজ ও বিদেশি।
- তৎসম শব্দ কাকে বলে? — সংস্কৃত থেকে অপরিবর্তিতভাবে আগত শব্দকে তৎসম বলে।
- তদ্ভব শব্দ কাকে বলে? — সংস্কৃত শব্দের পরিবর্তিত রূপকে তদ্ভব বলে।
- দেশজ শব্দ কাকে বলে? — কোনো ভাষা থেকে আগত নয়, এমন শব্দকে দেশজ বলে।
- বিদেশি শব্দ কাকে বলে? — বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দকে বিদেশি শব্দ বলে।
- ধ্বনির প্রকারভেদ কী কী? — স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।
- স্বরধ্বনি কাকে বলে? — যে ধ্বনি নিজে উচ্চারিত হয়, তাকে স্বরধ্বনি বলে।
- ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে? — যে ধ্বনি অন্য ধ্বনির সহায়তায় উচ্চারিত হয়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।
- ধ্বনি কত প্রকার? — দুই প্রকার: স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।
- বর্ণ কাকে বলে? — ধ্বনির লিখিত রূপকে বর্ণ বলে।
- বর্ণ কয় প্রকার? — দুই প্রকার: স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ।
- স্বরবর্ণ কয়টি? — ১১টি।
- ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি? — ৩৯টি।
- সন্ধি কয় প্রকার? — তিন প্রকার: স্বর সন্ধি, ব্যঞ্জন সন্ধি ও বিসর্গ সন্ধি।
- সমাস কয় প্রকার? — ছয় প্রকার: অব্যয়ীভাব, তৎপুরুষ, দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, বহুব্রীহি, দ্বিগু।
- ক্রিয়ার কাল কয় প্রকার? — তিন প্রকার: বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যৎ।
- অব্যয় পদ কাকে বলে? — যে পদ পরিবর্তন হয় না, তাকে অব্যয় পদ বলে।
- অর্থ অনুসারে বাক্য কয় প্রকার? — তিন প্রকার: বিবৃতি, প্রশ্ন, আদেশ/অনুরোধ।
- সন্ধি বিচ্ছেদ কাকে বলে? — সন্ধিযুক্ত শব্দকে পৃথক শব্দে ভাঙাকে সন্ধি বিচ্ছেদ বলে।
- সমার্থ শব্দের গুরুত্ব কী? — লেখায় বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য আনে।
- বাংলা ব্যাকরণ কে রচনা করেন? — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
- কথার ক্ষুদ্রতম অংশকে বলা হয় ধ্বনি।
- ধ্বনির লিখিত রূপকে বলা হয় বর্ণ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন