সালাফি মতবাদের বিস্তার ও পশ্চিমা বিশ্বের অবদান

সালাফি মতবাদের বর্তমান বিস্তারে সৌদি আরব এবং পশ্চিমা বিশ্বের অবদান একটি জটিল এবং বহুমুখী বিষয়, যা ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ভূ-কৌশলগত প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পর্কিত। সালাফি মতবাদ, যা প্রায়শই ওয়াহাবি ভাবধারার সাথে সম্পর্কিত, ইসলামের একটি কঠোর ব্যাখ্যা প্রচার করে, যা প্রাথমিক মুসলিম সম্প্রদায়ের (সালাফ) অনুসরণের উপর জোর দেয়। নিচে সৌদি আরব এবং পশ্চিমা বিশ্বের অবদান বিস্তারিতভাবে তথ্যসূত্রসহ আলোচনা করা হলো।

---

### **১. সৌদি আরবের অবদান সালাফি মতবাদের বিস্তারে**

সৌদি আরব সালাফি মতবাদের বিস্তারে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে, প্রধানত তাদের তেল-ভিত্তিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। নিচে এর প্রধান দিকগুলো উল্লেখ করা হলো:

#### **১.১. তেলের আয় ও ধর্মীয় প্রচারণা**
১৯৩৮ সালে সৌদি আরবে তেল আবিষ্কারের পর থেকে দেশটি তেল রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর অর্থনৈতিক সম্পদ অর্জন করে। এই অর্থ ব্যবহার করে সৌদি রাজপরিবার বিশ্বব্যাপী সালাফি মতবাদ প্রচারে বিনিয়োগ করে। তারা মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ধর্মীয় সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ প্রদান করে।

- **মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:** সৌদি আরব বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মাদ্রাসা নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য অর্থায়ন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ১৯৮০-এর দশকে সৌদি-অর্থায়িত মাদ্রাসাগুলো সালাফি ভাবধারা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- **ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়:** মদিনার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (Islamic University of Madinah), যা ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত, বিশ্বব্যাপী ছাত্রদের সালাফি মতবাদ শিক্ষা দেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এই প্রতিষ্ঠানে পড়া অনেক ছাত্র পরবর্তীতে তাদের দেশে ফিরে সালাফি ভাবধারা প্রচার করেন।
- **দাতব্য সংস্থা ও প্রকাশনা:** সৌদি আরবের দাতব্য সংস্থা, যেমন রাবিতা আল-আলম আল-ইসলামি (Muslim World League), সালাফি সাহিত্য প্রকাশ ও বিতরণ করে। এই সংস্থা বিশ্বব্যাপী মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্রে সৌদি অর্থায়িত সালাফি পুস্তক ও উপাদান সরবরাহ করে।

**তথ্যসূত্র:**
- Thomas Hegghammer, *Jihad in Saudi Arabia: Violence and Pan-Islamism since 1979* (2010): সৌদি আরবের ধর্মীয় প্রচারণা ও তেলের আয়ের ভূমিকা।
- David Commins, *The Wahhabi Mission and Saudi Arabia* (2006): সৌদি আরবের মাধ্যমে সালাফি মতবাদের বিস্তার।
- *The Economist*, “The Saudi Connection: How Billions in Oil Money Spawned a Global Terror Network” (2003): তেলের অর্থে ধর্মীয় প্রচারণার বিবরণ।

#### **১.২. রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা**
সৌদি রাজপরিবার ওয়াহাবি-সালাফি মতবাদকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং এটিকে তাদের শাসনের বৈধতার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে। সৌদি আরবের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যেমন হাইয়াত কিবার আল-উলামা (Council of Senior Scholars), সালাফি মতবাদের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ফতোয়া জারি করে এবং ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে সালাফি ভাবধারার প্রভাব বিস্তার করে।

- **হজ ও ধর্মীয় প্রভাব:** সৌদি আরব মক্কা ও মদিনার তত্ত্বাবধানকারী হিসেবে হজের সময় বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের কাছে সালাফি মতবাদ প্রচারের সুযোগ পায়। হজ পালনকারীদের জন্য সৌদি আরব ধর্মীয় সাহিত্য ও শিক্ষা প্রদান করে, যা সালাফি ভাবধারার বিস্তারে সহায়ক।
- **মিডিয়া ও প্রযুক্তি:** সৌদি-অর্থায়িত টেলিভিশন চ্যানেল, যেমন আল-মাজদ এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, সালাফি ভাবধারা প্রচারে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, সামাজিক মাধ্যমে সৌদি-সমর্থিত সালাফি পণ্ডিতদের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

**তথ্যসূত্র:**
- Madawi Al-Rasheed, *A History of Saudi Arabia* (2002): সৌদি রাষ্ট্রের ধর্মীয় পৃষ্ঠপোষকতার ভূমিকা।
- *Foreign Policy*, “The Kingdom’s Religious Reach: How Saudi Arabia Exports Its Ideology” (2018): সৌদি আরবের ধর্মীয় প্রভাব বিস্তারের কৌশল।

#### **১.৩. বিশ্বব্যাপী জিহাদি আন্দোলনের সমর্থন**
১৯৮০-এর দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বিরোধী জিহাদে সৌদি আরব অর্থ ও লোকবল প্রদান করে, যা সালাফি-জিহাদি ভাবধারার বিস্তারে অবদান রাখে। যদিও সৌদি সরকার সরাসরি জঙ্গিবাদকে সমর্থন করেনি, তাদের অর্থায়িত মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রচারণা থেকে উদ্ভূত কিছু গোষ্ঠী পরবর্তীতে জিহাদি আন্দোলনে যুক্ত হয়। উদাহরণস্বরূপ, আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠী সালাফি ভাবধারার কিছু উপাদান গ্রহণ করে।

**তথ্যসূত্র:**
- Steve Coll, *Ghost Wars: The Secret History of the CIA, Afghanistan, and Bin Laden* (2004): আফগান জিহাদে সৌদি ভূমিকা।
- Gilles Kepel, *Jihad: The Trail of Political Islam* (2002): সালাফি-জিহাদি আন্দোলনের উত্থান।

---

### **২. পশ্চিমা বিশ্বের অবদান সালাফি মতবাদের বিস্তারে**

পশ্চিমা বিশ্বের অবদান সরাসরি সালাফি মতবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে ছিল না, বরং এটি মূলত ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত ছিল। তবে, তাদের সমর্থন সৌদি আরবের ক্ষমতা ও সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়, যা পরোক্ষভাবে সালাফি মতবাদের বিস্তারে অবদান রাখে।

#### **২.১. তেল অর্থনীতির সমর্থন**
১৯৩০-এর দশকে আমেরিকান তেল কোম্পানি (Standard Oil of California, পরবর্তীতে Aramco) সৌদি আরবে তেল অনুসন্ধান শুরু করে। এই অর্থনৈতিক সহযোগিতা সৌদি রাজপরিবারকে প্রচুর সম্পদ প্রদান করে, যা তারা সালাফি মতবাদ প্রচারে ব্যবহার করে। পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সৌদি আরবের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে।

**তথ্যসূত্র:**
- Daniel Yergin, *The Prize: The Epic Quest for Oil, Money & Power* (1991): তেল অর্থনীতি ও সৌদি-আমেরিকান সম্পর্ক।
- Robert Vitalis, *America’s Kingdom: Mythmaking on the Saudi Oil Frontier* (2006): তেল শিল্পে আমেরিকার ভূমিকা।

#### **২.২. শীতল যুদ্ধের কৌশলগত জোট**
শীতল যুদ্ধের সময় (১৯৪৫-১৯৯১) যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ সৌদি আরবকে সোভিয়েত প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে। এই সমর্থন সৌদি রাজপরিবারের ক্ষমতা শক্তিশালী করে, যা তাদের ধর্মীয় প্রচারণার সক্ষমতা বাড়ায়।

- **আফগান জিহাদ (১৯৮০-এর দশক):** যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান একত্রে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বিরোধী মুজাহিদিনদের সমর্থন করে। সৌদি আরব এই সময়ে অর্থ ও ধর্মীয় প্রচারণার মাধ্যমে সালাফি ভাবধারা ছড়ায়, যা পরবর্তীতে জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর উপর প্রভাব ফেলে।
- **অস্ত্র ও সামরিক সমর্থন:** পশ্চিমা দেশগুলো সৌদি আরবকে অস্ত্র সরবরাহ ও সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যা রাজপরিবারের ক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়ক হয়। এই স্থিতিশীলতা তাদের ধর্মীয় এজেন্ডা চালানোর সুযোগ দেয়।

**তথ্যসূত্র:**
- Rachel Bronson, *Thicker Than Oil: America’s Uneasy Partnership with Saudi Arabia* (2006): শীতল যুদ্ধে সৌদি-আমেরিকান সম্পর্ক।
- Steve Coll, *Ghost Wars* (2004): আফগান জিহাদে পশ্চিমা ও সৌদি ভূমিকা।

#### **২.৩. পশ্চিমা নীতির পরোক্ষ প্রভাব**
- **অভিবাসন ও সালাফি প্রভাব:** পশ্চিমা দেশগুলোতে মুসলিম অভিবাসন বৃদ্ধির ফলে সালাফি ভাবধারা ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় ছড়িয়েছে। সৌদি-অর্থায়িত মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো এই অঞ্চলে সালাফি মতবাদ প্রচারে সহায়ক হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর ধর্মীয় স্বাধীনতার নীতি এই প্রচারণার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে।
- **বৈশ্বিকীকরণ ও প্রযুক্তি:** পশ্চিমা প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের বিস্তার সালাফি পণ্ডিতদের তাদের বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়াতে সাহায্য করেছে। যদিও এটি পশ্চিমা বিশ্বের সরাসরি অবদান নয়, তাদের প্রযুক্তিগত অবকাঠামো এই প্রক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

**তথ্যসূত্র:**
- *The Guardian*, “How Saudi Arabia’s Wahhabism Spread Across the Muslim World” (2016): পশ্চিমে সালাফি প্রভাবের বিস্তার।
- Olivier Roy, *Globalized Islam: The Search for a New Ummah* (2004): অভিবাসন ও বৈশ্বিকীকরণের প্রেক্ষাপটে সালাফি মতবাদ।

---

### **৩. বিপরীত দৃষ্টিকোণ**
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন যে সালাফি মতবাদের বিস্তারে সৌদি আরবের ভূমিকা প্রধান হলেও, পশ্চিমা বিশ্বের অবদান সম্পূর্ণ পরোক্ষ। পশ্চিমা দেশগুলোর লক্ষ্য ছিল তেল সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বজায় রাখা, সালাফি মতবাদ প্রচার নয়। তবে, তাদের সমর্থন সৌদি আরবকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি প্রদান করে, যা সালাফি প্রচারণার পথ সুগম করে। এছাড়া, পশ্চিমা নীতি, যেমন মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপ (ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ), কিছু ক্ষেত্রে সালাফি-জিহাদি গোষ্ঠীর উত্থানকে উৎসাহিত করেছে।

**তথ্যসূত্র:**
- Guido Steinberg, *Religion and State in Saudi Arabia* (2006): সৌদি আরবের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গতিশীলতা।
- *Foreign Affairs*, “The Saudi Paradox” (2004): পশ্চিমা নীতি ও সালাফি প্রভাবের সম্পর্ক।

---

### **৪. বর্তমান প্রেক্ষাপট (২০২৫ পর্যন্ত)**
- **সৌদি আরবের সংস্কার প্রচেষ্টা:** বর্তমানে, ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি আরব *ভিশন ২০৩০*-এর অংশ হিসেবে ধর্মীয় সংস্কারের দিকে ঝুঁকছে। এর মধ্যে রয়েছে কঠোর সালাফি প্রথার কিছু উপাদান হ্রাস করা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি। তবে, ঐতিহাসিকভাবে সৌদি-অর্থায়িত সালাফি প্রচারণা এখনও বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলছে।
- **পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকা:** পশ্চিমা দেশগুলো এখনও সৌদি আরবের সাথে অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক বজায় রাখছে, যদিও তারা সৌদি আরবের ধর্মীয় প্রচারণার সমালোচনা করে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সৌদি আরবের সাথে অস্ত্র চুক্তি ও বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

**তথ্যসূত্র:**
- *BBC News*, “Saudi Arabia’s Vision 2030: Reining in Wahhabism?” (2020): সৌদি সংস্কার ও সালাফি মতবাদ।
- *Reuters*, “U.S.-Saudi Arms Deals Continue Despite Criticism” (2023): পশ্চিমা-সৌদি সম্পর্ক।

---

### **সারসংক্ষেপ**
- **সৌদি আরবের অবদান:** সৌদি আরব তেলের আয়, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, মাদ্রাসা ও মসজিদ নির্মাণ, এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সালাফি মতবাদের বিস্তারে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। তাদের হজ তত্ত্বাবধান ও মিডিয়া প্রচারণাও এতে অবদান রেখেছে।
- **পশ্চিমা বিশ্বের অবদান:** পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, তেল অর্থনীতি ও শীতল যুদ্ধের কৌশলগত জোটের মাধ্যমে সৌদি আরবের ক্ষমতা ও সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে, যা পরোক্ষভাবে সালাফি মতবাদের বিস্তারে সহায়ক হয়েছে। তবে, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা।
- **বর্তমান প্রেক্ষাপট:** সৌদি আরব সংস্কারের দিকে এগোচ্ছে, তবে তাদের ঐতিহাসিক প্রচারণার প্রভাব এখনও বিশ্বব্যাপী রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে এই প্রক্রিয়ায় পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে।

**দ্রষ্টব্য:** উল্লিখিত তথ্যসূত্রগুলো প্রামাণিক গবেষণা ও সংবাদ উৎসের উপর ভিত্তি করে। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শেরপুর: ইতিহাস ও বর্তমানের এক হৃদয়ছোঁয়া গল্প

শেরশাহবাদিয়া ভাষা: বাংলা ভাষার আঞ্চলিক রূপ না কি ভিন্ন একটি লোকভাষা?

সাবান। কোনটা কি ধরনের। সরকারি নির্দেশনামাতে সাবান সম্পর্কে কি বলা আছে জানতে পড়ুন...